সময়সংবাদ ডেস্ক :
অ্যান্টিবায়োটিক বা অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল ড্রাগ এমন এক ধরণের ওষুধ যা ব্যাকটেরিয়া সংক্রমিত রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করে। অথচ এই ওষুধের যথেচ্ছ প্রয়োগের কারণে বিশ্বে ২০৫০ সাল নাগাদ অ্যান্টিবায়োটিক রেজিসটেন্সিতে (প্রতিরোধী) বিশ্বে মৃত্যুর হার ৭০ শতাংশ বাড়তে পারে। একটি নতুন গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সোমবার দ্য ল্যানসেট জার্নালে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সমষ্টিগতভাবে ২০২৫ থেকে ২০৫০ সাল পর্যন্ত বিশ্ব তিন কোটি ৯০ লাখেরও বেশি মৃত্যু দেখতে পারে যা সরাসরি অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিসটেন্স বা এএমআর-এর জন্য দায়ী।
ব্যাকটেরিয়া এবং ছত্রাকের মতো জীবাণু যখন তাদের হত্যা করার জন্য ব্যবহৃত ওষুধগুলো এড়িয়ে যাওয়ার ক্ষমতা অর্জন করে তখন অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল প্রতিরোধ ঘটে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এএমআর-কে ‘বিশ্বব্যাপী একটি শীর্ষ জনস্বাস্থ্য এবং উন্নয়ন হুমকি’ বলে অভিহিত করেছে।
নতুন গবেষণা প্রতিবেদনের প্রধান লেখক ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট ফর হেলথ মেট্রিক্স অ্যান্ড ইভালুয়েশনের পরিচালক ড. ক্রিস মারে বলেন, যখন এএমআর- এর ব্যাপকতা এবং এর প্রভাবের কথা আসে, তখন ‘আমরা আশা করি এটি আরও খারাপ হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের নতুন অ্যান্টিবায়োটিক এবং অ্যান্টিবায়োটিকের নৈতিক ব্যবহারের ওপর যথাযথ মনোযোগ দেওয়া দরকার যাতে আমরা সত্যিই একটি বড় সমস্যা যা সমাধান করতে পারি।’
গ্লোবাল রিসার্চ অন অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিসটেন্স প্রজেক্ট, ইনস্টিটিউট ফর হেলথ মেট্রিক্স অ্যান্ড ইভালুয়েশন এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোর গবেষকরা দেখেছেন, ১৯৯০ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ২০৪টি দেশে এএমআর জনিত মৃত্যু ও অসুস্থতার জন্য ২২টি জীবাণু, ৮৪টি প্যাথোজেন-ওষুধ সংমিশ্রণ এবং ১১টি সংক্রমণ দায়ী।
Leave a Reply