মনির হোসেন,সময় সংবাদ :
ঢাকার কেরানীগঞ্জে পুলিশের দেয়া মিথ্যা মামলায় এক যুবক বিনা অপরাধে জেলহাজতে রয়েছেন বলে জানা গেছে। ফলে তার পরিবার মানবতার জীবনযাপন করছেন। তার নাম মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন। তিনি কাজির গাঁও কোন্ডা ইউনিয়নের দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার বাসিন্দা। সে পেশায় একজন অটোচালক।
এই ঘটনাটি দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার এস আই মো. দেলোয়ার হোসেন ও তার সোর্স ঘটিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
জানা গেছে, গত ৩ মে একটি মাদক সংক্রান্ত ঘটনায় আনোয়ার হোসেন কে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। যাহার মামলা নং- ০৯/৩১৬।
এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে ভুক্তভোগী আনোয়ারের স্ত্রী শান্তা মনি সোমবার আইজিপি বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
ভুক্তভোগীর স্ত্রী শান্তা মনি জানিয়েছেন এসআই দেলোয়ারের এক সোর্স রয়েছে। সে পূর্ব শত্রুতার কারণে এসআই দেলোয়ারকে দিয়ে হেরোইনের মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসিয়েছে। ফলে কয়েক মাস যাবত আমার স্বামী বিনা অপরাধে মিথ্যা মামলায় জেল হাজতে রয়েছেন। এ কারণেই আমার সন্তান নিয়ে আমি মানবতার জীবনযাপন করছি।
আমার স্বামী অটোরিকশা চালায়। যা আয় হয় তা দিয়ে কোনোমতে সংসার চলে যায়। আমার ১২ বছর সংসারে তার কোন খারাপ কিছু দেখিনি। হেরোইন বিক্রি’র অভিযোগে যে মামলা দিয়েছে তা মিথ্যাও বানোয়াট।
তিনি বলেন, আমার স্বামী কে গ্রেফতারের পরে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার পুলিশ কর্মকর্তা এস আই দেলোয়ার হোসেন আমাকে কল করে ঘটনাস্থলে আসতে বলেন, পরবর্তীতে আমি এসে দেখি আমার স্বামীর হাতে হ্যান্ডকাফ লাগানো। তখন পুলিশের এই কর্মকর্তা আমার কাছে নগদ ৮০ হাজার টাকা দাবি করেন। এবং তিনি বলেন আমি টাকা দিলে আমার স্বামীকে সে ছেঁড়ে দিবেন। কিন্তু আমার কাছে নগদ এত টাকা ছিল না। তাই তাঁরা আমার স্বামীকে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়।
এস আই দেলোয়ার তখন আমাকে বলেন, টাকা যেহেতু তুই দিলি না আমি তোর স্বামীর লাইফ নষ্ট করে দিবো।
শান্তা আরো বলেন, মাদকের মিথ্যা মামলার বিষয়ে পুলিশ হেডকোয়ার্টারে অভিযোগ দিয়েছি। সুষ্ঠু তদন্ত এবং আল্লাহ্ যদি সহায় হন তাহলে অবশ্যই আমি ন্যায় বিচার পাবো।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে এ প্রতিবেদককে এসআই দেলোয়ার মুঠোফোনে বলেন, আমি তো অনেক দূরে স্থানান্তর হয়ে এসেছি। আনোয়ার আসলেই একজন মাদক ব্যবসায়ী। তাকে আমি মাদকসহু গ্রেফতার করেছি।
Leave a Reply