শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ০৩:১৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
বাড়ছে ডিম-মুরগীর দাম,অস্বস্তি জনজীবন ইমিগ্রেশনে আটক নিয়ে মুখ খুললেন নিপুণ মামলা না থাকায় ছাড়া পেলেন নিপুণ পুলিশ হেফাজতে নিপুণ নেতাকর্মীদের ‘কড়া’ নির্দেশনা দিল বিএনপি তারেক রহমান কবে দেশে আসছেন, জানালেন মির্জা ফখরুল ফ্ল্যাট কেলেঙ্কারির পর টিউলিপকে প্রথম প্রকাশ্যে দেখা গেছে! সাভারে বাস ও অ্যাম্বুলেন্স সংঘর্ষ, নিহত ৪ বাড়বে বাইক-ফ্রিজ-এসির দাম লন্ডনে পৌঁছেছেন বেগম খালেদা জিয়া শেখ হাসিনাসহ ৯৭ জনের পাসপোর্ট বাতিল ঢাকার বাতাস ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ তিব্বতে শক্তিশালী ভূমিকম্পে ৫৩ জনের মৃত্যু শেখ হাসিনাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জনগণ ও গণতন্ত্রের পক্ষে কাজ করার নির্দেশনা খালেদা জিয়ার ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে নির্বাচন কমিশন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ তারেক রহমানের চার মামলা বাতিলের রায় বহাল শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ ও বাংলাদেশের ‘লাইট ট্যাংক’ কেনা প্রসঙ্গে ভারত যা বলছে মাছ ধরার নৌকা থেকে ১ লাখ ইয়াবা জব্দ, আটক ১ চ্যালেঞ্জে দেশের অর্থনীতি

ছাত্র-জনতার বিপ্লব দিয়ে এক নতুন বাংলাদেশের সূচনা হয়েছে’

  • সংবাদ প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৪, ১২.০৩ পিএম
  • ৪৬ বার সংবাদটি পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক :
ঢাকা: অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মধ্য দিয়ে আমরা এক নতুন বাংলাদেশের সূচনা করেছি। এই নতুন দেশে আমাদের দায়িত্ব সকল মানুষকে একটি বৃহত্তর পরিবারের বন্ধনে আবদ্ধ করা।

তিনি বলেন, পরিবারে মতভেদ থাকবে, বাগবিতণ্ডা হবে, কিন্তু আমরা কেউ কারও শত্রু হবো না। কাউকে তার মতের জন্য শত্রু মনে করবো না। কাউকে ধর্মের কারণে শত্রু মনে করবো না। আমরা সবাই সমান। কেউ কারও ওপরে না এবং কেউ কারও নিচে না এই ধারণা আমরা জাতীয় জীবনে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।

এসময় সুন্দর ও সমৃদ্ধশালী ভবিষ্যৎ গড়তে ছাত্র-জনতার কাছে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকার কথাও জানান ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) ঢাকা সেনানিবাসের আর্মি মাল্টিপারপাস হলে খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ছাত্র-জনতার সাহস ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত নতুন বাংলাদেশে আমাদের সুন্দর ও সমৃদ্ধশালী ভবিষ্যৎ গড়তে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ, আহত এবং জীবিত ছাত্র-জনতার কাছে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে চাই। তারা যে সুযোগ আমাদের তৈরি করে দিয়েছে, তার মাধ্যমে বাংলাদেশকে পৃথিবীর সামনে দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী দেশে পরিণত করতে আমরা শপথ নিয়েছি।

বৈষম্যহীন ও শোষণমুক্ত দেশ গঠনের অঙ্গীকার ব্যক্ত করে তিনি বলেন, কেউ কারও উপরে না এবং কেউ কারও নিচে না- এই ধারণা আমরা জাতীয় জীবনে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। বৈষম্যহীন, শোষণহীন, কল্যাণময় এবং মুক্ত বাতাসের রাষ্ট্রের যে স্বপ্ন নিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা দেশ স্বাধীন করেছিলেন, আমি তাদের সেই স্বপ্ন পূরণে অঙ্গীকারাবদ্ধ।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে মানবিক ও কল্যাণকর রাষ্ট্র হিসেবে সমাদৃত। আমরা সব রাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্ব বজায় রাখবো। আমাদের পররাষ্ট্রনীতির ভিত্তি পারস্পরিক সম্মান, আস্থা, বিশ্বাস ও সহযোগিতা। জলবায়ু সংকট মোকাবিলা এবং বৈশ্বিক শান্তি ও অর্থনীতি সুসংহত করতে আমাদের একত্রে কাজ করতে হবে।

ড. ইউনূস বলেন, বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। তরুণ সমাজ যেন সম্পদের সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও মেধার ভিত্তিতে নিজ নিজ সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটিয়ে দেশ গঠনে অবদান রাখতে পারে সেই পরিবেশ আমাদের নিশ্চিত করতে হবে।

লিখিত বক্তব্যে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ঘটনা, যার ফলে পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা ও পরিচিতি লাভ করেছে। দেশ স্বাধীন করার মহান ব্রত নিয়ে একাত্তারের ২৫ মার্চ রাত থেকে বাঙালি সেনারা সেনানিবাস ত্যাগ করে সশস্ত্রযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। একই সঙ্গে এই দেশের কৃষক, শ্রমিক, ছাত্র-জনতা সাধারণ মানুষ সকলেই যার যা কিছু আছে তাই নিয়েই যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে যা একটি জনযুদ্ধে রূপ নেয়। আমাদের মা-বোনেরা মুক্তিযোদ্ধাদের পাশে থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণসহ বিভিন্নভাবে যুদ্ধে সহযোগিতা করেছেন।

তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধে যুদ্ধরত সকল বাহিনীকে ‘বাংলাদেশ ফোর্সেস’ নামে সাংগঠনিক রূপ দেওয়া হয়। সমগ্র বাংলাদেশকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করে সশস্ত্র বাহিনীর নেতৃত্বে যুদ্ধ পরিচালিত হয়। মাত্র দুটি গানবোট ‘পদ্মা’ ও ‘পলাশ’ নিয়ে বাংলাদেশ নৌবাহিনী জলপথে যুদ্ধ শুরু করে। এছাড়াও পাকিস্তান নৌবাহিনীতে কর্মরত বাংলাদেশি সাবমেরিনার এবং নাবিকদের সমন্বয়ে গড়ে তোলা অকুতোভয় নৌ কমান্ডোদল ‘অপারেশন জ্যাকপট’ নামক দুঃসাহসী আক্রমণ পরিচালনা করে বিভিন্ন নদীবন্দরে খাদ্য ও রসদবোঝাই শত্রুজাহাজ ডুবিয়ে দিতে সক্ষম হয়। এছাড়াও বিমান বাহিনীর সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত ‘কিলো ফ্লাইট’ চট্টগ্রাম ও নারায়ণগঞ্জের জ্বালানি ডিপোসহ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় সফল আক্রমণ পরিচালনা করে। মুক্তিযুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনীর এই অবদান সাধারণ মানুষের আত্মত্যাগের সঙ্গে একীভূত করার উদ্দেশ্যে প্রতিবছর ২১ নভেম্বর পালিত হয় সশস্ত্র বাহিনী দিবস।

সংবাদটি শেয়ার করুন

অন্যান্য সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

November 2025
T F S S M T W
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031  
All rights reserved © somoysangbad.net
Theme Download From CreativeNews