নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজধানীর ডেমরায় ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজে (ডিএমআরসি) হামলা চালিয়েছে কবি নজরুল সরকারি কলেজ, সরকারি শহিদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীরা। এছাড়া দুই পক্ষ দফায় দফায় সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় ডেমরা ও যাত্রাবাড়ী এলাকা। আহত হন বেশ কয়েকজন।
সোমবার দুপুর ১২টার দিকে এই হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় কলেজতে ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়ে বিভিন্ন সামগ্রী ও সরঞ্জাম নিয়ে যায় হামলাকারীরা।
পরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে শিক্ষার্থীদের শান্ত করা এবং হামলা-ভাঙচুরে জড়িতদের শাস্তির আশ্বাস দেয় পুলিশ।
এর আগে, সকাল ১০টা থেকে কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীরা বাহাদুর শাহ পার্কের সামনে লাঠি-সোঁটা নিয়ে জড়ো হতে থাকে। পরে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা রায়সাহেব বাজারের দিকে অগ্রসর হয় সাত কলেজের অন্যান্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে জড়ো হতে থাকে।
এদিকে পুলিশ সদস্যরা জানান, ডেমরার উদ্দেশে রওনা হওয়া কলেজ শিক্ষার্থীদের ঠেকাতে যাত্রাবাড়ীতে ব্যারিকেড দেন তারা। তবে সেই ব্যারিকেড ভেঙেই ডেমরা এলাকায় গিয়ে মোল্লা কলেজে হামলা ও ভাঙচুর চালায় তারা।
সোমবার ন্যাশনাল মেডিকেল ইনস্টিটিউট হাসপাতালে চিকিৎসকের গাফিলতিতে বন্ধুর মৃত্যুর অভিযোগে রোববার দফায়-দফায় সংঘর্ষে জড়ান শিক্ষার্থীরা। মেডিকেল ঘেরাও কর্মসূচি পরে রূপ নেয় সংঘর্ষে। এ সময়, হাসপাতালটির পাশাপাশি সোহরাওয়ার্দী ও কবি নজরুল কলেজেও ভাঙচুর চালানো হয়।
রোববার দুপুরে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল ইনস্টিটিউট হাসপাতালে দলে-দলে আসতে থাকেন বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা। তাদের অভিযোগ, ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থী অভিজিতের চিকিৎসায় গাফিলতি করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এতে সোমবার মৃত্যু ঘটে অভিজিতের। ওই ঘটনার বিচার চাইতে হাসপাতাল ঘেরাও ও ভাঙচুর করেন উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা।
এক পর্যায়ে হাসপাতালের মূল ফটক ছেড়ে সরকারি শহিদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও কবি নজরুল সরকারি কলেজের দিকে এগিয়ে যান শিক্ষার্থীরা। মৃত্যুর বিচার চেয়ে হাসপাতাল ঘেরাওয়ের কর্মসূচি রূপ নেয় কলেজে হামলায়। এর আগে দুই দফা অবস্থান নিলেও ন্যাশনাল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সোহরাওয়ার্দী কলেজ এবং কবি নজরুল কলেজের শিক্ষার্থীদের তাদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করেছিল।
হামলার সময় ওই দুই কলেজেই পরীক্ষা চলছিল। ভাঙচুর শুরু হলে পরীক্ষার্থীরা এলোপাতাড়ি এদিক-ওদিক ছুটতে থাকেন। প্রায় সাড়ে ৩ ঘণ্টা পর শিক্ষার্থীরা রাস্তা ছেড়ে দিলে জড়ো হতে থাকেন কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীরা। হামলা-ভাঙচুরের পাশাপাশি অর্থ লুটপাটের অভিযোগ করেন তারা। উত্তাল হয়ে ওঠে পুরো এলাকা।
দুই কলেজের পাশাপাশি ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল ইনস্টিটিউট হাসপাতালের ভেতরেও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
Leave a Reply