নিজস্ব প্রতিবেদক, সময় সংবাদ : ফ্যাসিবাদ সরকারের আমলের সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী আত্মীয় চাকুরীচুত উপ-সচিব আবু মাসুদের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও ঘুষ ও দুর্নীতি অভিযোগ উঠেছে। তবুও সে ক্ষমতা ও অর্থবলে ধরাছোঁয়ার বাইরেই রয়ে গেছেন এই ধূর্ত আমলা। কিন্তু, বর্তমানে তিনি অবৈধভাবে মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবার কল্যাণ সমিতির ১ কোটি ৫০ লাখ এফডিআর ভেঙ্গে অর্থ স্থানান্তর এবং অন্য ব্যাংকে সমিতির এফডিআর ভাঙ্গার অপচেষ্টা করেছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
চাকুরীচুত উপ-সচিব আবু মাসুদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন সহ বিভিন্ন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তরে অভিযোগ দেয়া হয়েছে। সে তার চাকুরী জীবনে ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবার কল্যাণ সমিতির প্রশাসকের দায়িত্ব থাকাকালীন সময় বিভিন্ন অনিয়ম মাধ্যমে কি নেই যা করেন নাই। তার কাছে আনিয়মই ছিল নিয়ম। কোন কিছুর তোয়াক্কা না করে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে
ঘুষ বাণিজ্য সহ বিভিন্ন অনিয়ম করেছেন বলে সূত্র দাবি করেছে।
অভিযোগের তথ্য মতে জানা গেছে, সমিতির সদস্যের পক্ষ থেকে অভিযোগের পরিপেক্ষিতে সমাজসেবা অধিদপ্তরের তদন্তে অভিযোগের সত্যতা প্রমান পায় তদন্ত কমিটি। তাছাড়া তিনি ইতোপূর্বে অনেকগুলো অধিদপ্তর এবং মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকাকালীন ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে এমন কোন অনিয়ম নেই যে তিনি করেননি। সেই সময় ঘুষ বাণিজ্য ও অনিয়ম করে দেশের বাইরে বহু অর্থ বিদেশে পাচার করেছেন। সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন তার বিরুদ্ধে তদন্ত করলে আরো গোপন রহস্য বেরিয়ে আসবে। সাধারণ মানুষের প্রশ্ন তার খুটির জোর কোথায়? এখনো কেন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। তিনি কি আইনের ঊর্ধ্বে? সচেতন মহলের এমন বহু প্রশ্ন থাকলেও ৫ ই আগস্টের পর দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা অদৃশ্য কারণে রক্ষা পেয়ে যাচ্ছেন। এতে করে দুর্নীতিবাজরা আরো দুর্নীতি করতে উৎসাহিত হচ্ছেন বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞরা। বর্তমানে তিনি হাজার কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। তার কানাডায় বাড়ি, গাড়ি ও ব্যবসা রয়েছে বলে বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছে।
তথ্য মতে, আবু মাসুদ ছিলেন জুলাই আন্দোলনে পতিত আওয়ামীলীগ সরকারের ভূমি মন্ত্রীর অর্থ সম্পদের মূল যোগান দাতা।
বর্তমানে তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলমান রয়েছে। সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, হয়তো তার স্ত্রীর হস্তক্ষেপে সোই তদন্ত খুব বেশিদূর এগোতে পারবে না। কারণ, তার স্ত্রীও একজন সরকারি কর্মকর্তা।
এই বিষয়ে মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ সমিতির সাবেক প্রশাসক অতিরিক্ত সচিব আবু মাসুদ তার কাছে
জানতে চাইলে তার মুঠফোনে ফোন দিয়ে পাওয়া যায়নি। তার হোয়াটসঅ্যাপ ও ফেসবুক মেসেঞ্জারে সংবাদের সত্যতা যাচাই করার জন্য একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও এ প্রতিবেদকে সহযোগিতা করেনি।
জানা গেছেন তিনি অপরিচিত কোন নাম্বার রিসিভ করেন না। সেগুলো ব্যস্ত করে রেখেছেন। এই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আরও তদন্ত চলমান রয়েছে।
Leave a Reply