নিউজ ডস্কে,সময় সংবাদ: যুক্তরাজ্যের লন্ডনে সফররত বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে অনুষ্ঠিত একান্ত বৈঠকের পরে দেশের রাজনীতিতে বিদ্যমান উত্তেজনা কেটে যাবে, অনিশ্চয়তা দূর হবে এবং বৃহত্তর ঐকমত্য তৈরি হবে হবে আশা প্রকাশ করছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
দলটির মতে, সরকার-বিএনপির ‘সমঝোতা’ রাজনৈতিক সংকট দূর করবে।
শুক্রবার (১৩ জুন) দলটির যুগ্ম মহাসচিব ও দলীয় মুখপাত্র মাওলানা গাজী আতাউর রহমান এক বিবৃতিতে এই প্রত্যাশা করেন।
বিবৃতিতে মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, নির্বাচনের সময়সূচি নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে অস্থিরতা কাজ করছিল। প্রধান বিরোধীদল বিএনপিসহ একাধিক রাজনৈতিক দল পঁচিশের ডিসেম্বরে নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছিল। প্রধান উপদেষ্টা কর্তৃক এপ্রিলে নির্বাচনের সময়সূচি ঘোষণা রাজনীতিতে একটি চাপা উত্তেজনা তৈরি করেছিল। আজকের বৈঠকে তারেক রহমান ডিসেম্বর থেকে সরে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের প্রস্তাব দিয়েছেন, প্রধান উপদেষ্টাও শর্তসাপেক্ষে তা বিবেচনার কথা বলেছেন। নিজস্ব অবস্থানকে যৌক্তিক কারণে পুনর্বিবেচনা করার এই ঘটনা বাংলাদেশের রাজনীতিতে ইতিবাচক দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। এ জন্য দুই নেতাকেই ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।
ইসলামী আন্দোলনের এ নেতা আরও বলেছেন, সংস্কার, বিচার ও জুলাই সনদ নিয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে নীতিগত সমর্থন পাওয়া গেছে আজকের বৈঠক থেকে। এটা স্বৈরতন্ত্রমুক্ত আগামীর বাংলাদেশ নির্মাণের পথকে মসৃণ করবে বলে বিশ্বাস করে ইসলামী আন্দোলন।
তবে, এ দুই নেতার বৈঠকের পরে প্রেস বিফিংয়ে নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমানের শব্দ প্রয়োগকে বিস্ময়কর আখ্যায়িত করেছেন মাওলানা গাজী আতাউর রহমান।
তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিএনপির অবস্থান মাথায় রেখেও এ কথা সত্য যে, তারেক রহমান দেশের রাজনীতির একক প্রতিনিধিত্ব করেন না। তাদের বৈঠক গুরুত্বপূর্ণ হলেও আক্ষরিক অর্থে এটা দেশের সরকারপ্রধানের সাথে একজন রাজনৈতিক নেতার সংলাপ। এই সংলাপের পরে প্রেস বিফিংয়ে বারবার ‘যৌথ বিবৃতি’ বলা বিস্ময়কর।
একটি রাজনৈতিক দলের সাথে রাষ্ট্রের ‘যৌথ বিবৃতি’ দেয়া শোভনীয় নয় বলে মত দেন মাওলানা গাজী আতাউর রহমান। একই সাথে বিএনপির মতামতের ভিত্তিতে দেশের সামগ্রিক রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেয়াও শোভনীয় না বলে তিনি উল্লেখ করেন।
Leave a Reply