সময়সংবাদ ডেস্ক : ১৪ মাস পর এবার চাল রপ্তানির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে ভারত। রপ্তানির পাশাপাশি শুল্কের হারও কমিয়ে দিয়েছে দেশটি।
গত শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
রপ্তানিকারকরা বাসমতি ছাড়া অন্য সব ধরনের চাল রপ্তানি করতে পারবে। রপ্তানি শুল্কও কমানো হয়েছে। আগে যেখানে রপ্তানি শুল্কের হার ছিল ২০ শতাংশ, সেখানে বর্তমানে তা নামিয়ে আনা হয়েছে দশ শতাংশে।
চাল রপ্তানির অনুমতি দেয়ায় আনন্দিত দেশটির চাল রপ্তানিকারকরা। তারা বলছেন, সরকারের এই সিদ্ধান্ত ভারতের অভ্যন্তরীণ কৃষিক্ষেত্র এবং আন্তর্জাতিক চালের বাজারে গেম চেঞ্জারের ভূমিকা রাখবে। কৃষকরাও লাভবান হবেন।
গত বছর ভারতে ব্যাপক বৃষ্টিপাতের কারণে চাল উৎপাদন ব্যহত হয়। ফলে অভ্যন্তরীণ বাজার স্থিতিশীল রাখতে ২০২৩ সালের ২০ জুলাই বিশ্ববাজারে চাল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয় ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার।
ভারত চাল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়ার পর থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে বাড়তে শুরু করে চালের দাম। শতকরা হিসেবে সব ধরনের চালের দাম বেড়েছিল ১১ দশমিক ৭ শতাংশ।
সম্প্রতি দশ মাস ধরে চলা পেঁয়াজ রপ্তানির উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় ভারত। চলতি মাসের মাঝামাঝি ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর আরোপিত ৪০ শতাংশ শুল্ক কমিয়ে ২০ শতাংশ করে।
বিশ্বের ৩০০ কোটিরও বেশি মানুষের প্রধান খাদ্য ভাত। যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, চাল উৎপাদনে এই মূহূর্তে বিশ্বে শীর্ষে রয়েছে ৬টি দেশ—বাংলাদেশ, চীন, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড এবং ভিয়েতনাম।
তবে চাল রপ্তানিতে শীর্ষে রয়েছে ভারত। প্রতিদিন বিশ্ববাজারে যে পরিমাণ চাল কেনাবেচা হয়, তার ৪০ শতাংশই আসে ভারত থেকে।
ভারতে চালের উৎপাদন হয় মূলত দেশটির পূর্ব, উত্তরপূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে। গত বছর এসব রাজ্যে পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত না হওয়ায় উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। সেই পরিস্থিতিতে অভ্যন্তরীণ বাজার স্থিতিশীল রাখতে ২০২৩ সালের ২০ জুলাই বিশ্ববাজারে চাল রপ্তানিতে নিষেধজ্ঞা দেয় ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার।
Leave a Reply