সময়সংবাদ ডেস্ক :
: অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, বিশ্বজুড়ে প্রতি এক মিনিটে এক ট্রাক প্লাস্টিক বর্জ্য সমুদ্রে ফেলা হয়। যা বর্তমানে সমুদ্রের ১১ কিলোমিটার গভীর পর্যন্ত ছড়িয়ে গেছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে ২০৫০ সাল নাগাদ সমুদ্রে (ওজনের বিচারে) মাছের চেয়ে প্লাস্টিকের পরিমাণ হবে বেশি।
এদিকে করোনা মহামারির সময় এ দূষণ কিছুটা কম থাকলেও মহামারি শেষে এসব আবর্জনার সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে পরিত্যাক্ত পিপিই, মাস্ক, স্যনিটাইজারের বোতল, সিরিঞ্জ।
সমুদ্রের তলদেশ এসব প্লাস্টিকের দ্বারা বিছিয়ে থাকাকে বলা হয় প্লাস্টিক প্যাচ। বর্তমানে ক্যালিফোর্নিয়া ও হাওয়াই এর মধ্যবর্তী প্লাস্টিক প্যাচটির আকার প্রায় টেক্সাস স্টেটের সমান।
এসব ছোট ছোট প্লাস্টিকের টুকরোগুলোকে খাবার ভেবে ভুল করে খেয়ে ফেলে সামুদ্রিক প্রাণীগুলো। বিশেষ করে নীল তিমি, কচ্ছপ, ডলফিন এসব প্লাস্টি খেয়ে মারা যাচ্ছে।
কেবল পানির নিচেই না, সমুদ্রের তীর বসবাসরত ৯৫% পাখির মৃত্যু হয় পেটে প্লাস্টিক যাবার কারণে। শুধুমাত্র ফেলে দেয়া দড়ি ও মাছ ধরার জালে আটকা পড়ার কারণেই প্রতি বছর ৩ লাখের বেশি ডলফিন, তিমিসহ অন্যান্য সামুদ্রিক প্রাণীর মৃত্যু হয়।
পরিবেশবিদরা বলছেন, ক্ষতির দিক থেকে এগুলো টাইম বোমার চেয়ে কোনো অংশেই কম না। এখন থেকেই যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া না হলে, করোনা প্যানডেমিক আঘাত হানবে ঝুঁকির মুখে থাকা সামুদ্রিক প্রাণীজগতে।
Leave a Reply