শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৪ পূর্বাহ্ন

বামনা উপজেলার রামনায় বিরোধপূর্ণ জমি নিয়ে এক নারী রক্তাক্ত জখম

  • সংবাদ প্রকাশের সময় : সোমবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৪, ৬.২০ পিএম
  • ১১২ বার সংবাদটি পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক :
বরগুনার বামনা উপজেলার রামনা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডে বিরোধপূর্ণ জমি নিয়ে বাড়ি-ঘরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এবং রক্তাক্ত যখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন একজন বয়স্ক নারী।
গত রবিবার সকালে এ ঘটনা ঘটেছে। এতে আফজাল চৌকিদার ও ফেরদৌস উভয়পক্ষ আহত হন বলে জানা গেছ। এ ঘটনায় আফজাল চকিদারের মা রক্তাক্ত জখম হয়ে বামনা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
তবে এলাকাবাসী জানিয়েছেন, জমি জবরদখল নয় ওয়াকফ এস্টেকৃত জমিতে মসজিদ উঠানো নিয়ে মত পার্থক্য তৈরি হওয়ার ফলে মারামারি ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনায় বামনা থানা পুলিশ উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার পরামর্শ দিয়ে ৩০ অক্টোবর সালিশির মাধ্যমে উক্ত বিষয়ে সমাধান করার আশ্বাস দেন উভয়পক্ষকে।
উক্ত জমি দখলে থাকা আফজাল চৌকিদারের দাবি জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়ে চলতি মাসের ১৫ তারিখ বিচার সালিশি সময় দেয়া ছিল। কিন্তু ফেরদৌস ও তার দলবল নিয়ে ৩ দিন আগে ১২ অক্টোবর সকালে হঠাৎ উক্ত জমিতে জোরপূর্বক গাছপালা কেটে বাড়ি-ঘর ভাঙচুর করেন। বাধা দিলে আমার মা বোন এবং স্ত্রীকে মারধর করেন ফেরদৌস, এতে রক্তাক্ত জখম হন আমার মা, সে বর্তমানে বামনা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। উক্ত ঘটনার বিচার দাবি করেছেন আফজাল চৌকিদার।

জানা গেছে, ৭০ সালে সরবান বিবি
এক একর ৪০ শতাংশ জমি ওয়াকফ এস্টেট করে দিয়ে যান।
উক্ত জমির ৫ শতাংশ জমির উপর রাস্তার পাশে মসজিদ করতে চান ফেরদৌসের পরিবারসহ এলাকা বাসি। কিন্তু দখলে থাকা আফজাল চৌকিদার বলেন,পুরনো মসজিদ যেখানে ছিল সেখানেই মসজিদের সংস্কারের কাজ চলছে। এখন রাস্তার পাশে মসজিদ করলে পুরনো মসজিদ করতে যে ব্যয় হয়েছে তার ক্ষয়ক্ষতি কে বহন করবে।
এ বিষয়ে ফেরদৌস এ প্রতিবেদককে বলেন,
এক একর ৪০ শতাংশ ওয়াকফ এস্টেট জমি, যা পুরোটাই আফজাল চৌকিদার তার পরিবারের দখলে রয়েছে। এর মধ্যে পাঁচ শতাংশ জমির উপর রাস্তার পাশে মসজিদ নির্মাণ করা হবে। পুরনো যে মসজিদটি যেখানে রয়েছে সেটি বাড়ির ভিতরে। সেখানে মুসল্লিরা নামাজ পড়তে যেতে পারে না। মুসল্লিদের সুবিধার কারণে রাস্তার পাশে হস্তান্তর করা হবে মসজিদের স্থান । ওয়াকফ এস্টেটের সভাপতি আমার বড় ভাই হারুন তিনি এই মসজিদ করে দিবেন।

তিনি আরো বলেন, দীর্ঘদিন আফজাল চৌকিদার উক্ত জমি জবরদখল করে রাখার কারণে এই মায়া ত্যাগ করতে পারছেন না। এ কারণে সে এবং তার পরিবার এখানে মসজিদ করতে দিচ্ছেন না,বাধা দিচ্ছেন। এবং উল্টাপাল্টা কথা বলছেন।
ফেরদৌস আরো বলেন, তাদেরকে মারা হয়নি উল্টো তারা আমাকে লোহার দা দিয়ে ধাওয়া করেন, পরে আমার বিভিন্ন স্থানে দা দিয়ে পিটিয়ে আহত করেন। বর্তমান আমি খুব অসুস্থ। পরে এলাকাবাসী এই ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে কিছু করেছেন কিনা আমি জানিনা তবে শুনছি তারাও আহত হয়েছেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

অন্যান্য সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

October 2024
T F S S M T W
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
252627282930  

All rights reserved © somoysangbad.net
Theme Download From CreativeNews