সময়সংবাদ ডেস্ক :
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে সবজিসহ নিত্যপণ্যের বাজারে অস্থিরতা বিরাজ করছে। অস্থির নিত্য পণ্যের বাজারে দিশেহারা হয়ে চরম বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া দিন মজুর ও নিম্ন আয়ের মানুষ। দেশের তিনটি অঞ্চলে হঠাৎ বন্যা আর টানা বর্ষণের ফলে শাক সবজির আবাদের ব্যাপক ক্ষতি হয়। এতে চাহিদার তুলনায় যোগান কম হওয়ায় সব ধরনের সবজির দাম বেড়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
উপজেলার হাটবাজারগুলো ঘুরে দেখা যায়, কোথাও ৮০ টাকার নিচে মিলছে না কোন সবজি । এখন শহর আর গ্রামের হাট-বাজারে সব ধরনের সবজির দাম প্রায় একই। এতে বাজার খরচের সঙ্গে আয়ের সঙ্গতি করতে পারছেন না পেশাজীবীরা।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায় গোল বেগুন ১০০ টাকা, করলা ৯০ টাকা, আলু ৬০ থেকে ৭০ টাকা, কাঁকরোল ৮০ টাকা, কচু ৮০ টাকা, বেগুন ৮০ থেকে ৯০ টাকা, ঢেড়স ৮০ টাকা, শসা ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। শুধু পেঁপের দাম রয়েছে ৪০ টাকার নিচে। কাঁচা মরিচ ৪৫০ ও ধনে পাতা ৩৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
৬০ টাকা হালিতে বিক্রি হচ্ছে ডিম। পেঁয়াজের ঝাঁঝ বেড়ে প্রতি কেজি ১১০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আদা, রসুন ২৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
স্টান কাচা বাজারের সবজি বিক্রেতা আশরাফুল বলেন, ‘সপ্তাহ খানেক আগে সবজির দাম কিছুটা কম ছিল। বর্তমানে আরোত থেকে বেশি দাম দিয়ে সবজি কিনতে হয়। সিন্ডিকেটের খপ্পড়ে থেকে সবজি বাজার বাঁচার ব্যবস্থা করতে হবে।’
ভূরুঙ্গামারী বাজারের কাঁচামাল ব্যবসায়ী আনোয়ার ও সফিয়ার বলেন, ‘বর্তমানে সব ধরনের সবজির দাম ৮০ টাকার উপরে। তবে আগামী এক মাসের মধ্যে সবজির দাম কিছুটা কমতে পারে।’
আব্দুল আজিজ নামের এক ক্রেতা জানান, ‘বাজারে সব ধরনের সবজির দাম দ্বিগুণ হয়েছে। দাম দ্বিগুণ হলেও আয় রোজগার বাড়েনি। এতে পরিবারের খরচ চালাতে হিমশিম খাচ্ছি।’
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার গোলাম ফেরদৌস জানান, নিত্য পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে অচিরেই ভূরুঙ্গামারীতে অভিযান পরিচালনা করা হবে।
Leave a Reply