সময় সংবাদ প্রতিবেদক:
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, “গতানুগতিক পদ্ধতিতে কাজ করার সুযোগ নেই। ১৮ কোটির মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে এবং সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে নির্বাচন কমিশন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
কাজ করতে গিয়ে ইচ্ছাকৃত ভুল কমিশন করবে না বলেও প্রতিশ্রুতি দেন সিইসি।
রোববার (৫ জানুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে ভোটার হালনাগাদের তথ্য সংগ্রহকারী ও সুপারভাইজারদের প্রশিক্ষণের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
এ সময় মৃত ভোটার, ভুয়া ভোটার না বানাতে সংশ্লিষ্টদের সতর্ক করেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ। তিনি বলেন, “টাকা অর্জনের মোটিভ নিয়ে যাতে কেউ ভোটার তালিকা অন্তর্ভুক্তির কাজে অংশগ্রহণ না করে। মৃত ভোটার, ভুয়া ভোটার এবং নতুন ভোটারের ক্ষেত্রে সমানভাবে কাজ করতে হবে।”
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর নতুন নির্বাচন কমিশনের প্রতি মানুষের আস্থা বেড়েছে বলে দাবি করেন তিনি। বলেন, ভোটের প্রতি মানুষের অনাগ্রহ সেখান থেকে কমিশন এবার বেরিয়ে আসতে পারবে।
তিনি বলেন, “মানুষের মধ্যে যে আস্থার ঘাটতি ছিল তা কমে এসেছে। মানুষ এবার ভোট দিতে চায়। ভোটকে কেউ যাতে নষ্ট করতে না পারে সেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
আরেক নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, “বিগত নির্বাচন যেভাবে কলুষিত হয়েছে, তা পুনরুদ্ধারে যা যা করা লাগে তার সবটুকুই করবে কমিশন। ভোটার হালনাগাদে অনিয়ম, অবহেলা অস্বচ্ছতা কোনোভাবেই বরদাস্ত করা হবে না।”
অনুষ্ঠানে ইসি তাহমিনা আহমদ বলেন, “সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে কমিশনের হাতিয়ার হবে আইন এবং বিবেক। ইসির কোনো কর্মকর্তা দুরভিসন্ধিমূলক কাজ করলে সেই দায় কমিশন নেবে না।”
ভোটে মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে স্বচ্ছতা এবং দায়িত্বের সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে ইসি আব্দুর রহমান মাছউদ বলেন, “নির্ভুল ভোটার তালিকা সুষ্ঠু নির্বাচনের পূর্বশর্ত বলেও মনে করে কমিশন।”
ভোটার তালিকা হালনাগাদে সর্বোচ্চ সতর্কতা এবং তৎপরতার সঙ্গে কাজ করার তাগিদ দেন তিনি।
Leave a Reply