শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৩১ অপরাহ্ন

ন্যায়ভিত্তিক সমাজব্যবস্থা গড়ে তোলাই মূল লক্ষ্য : জাতিসংঘে ড. ইউনূস

  • সংবাদ প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১১.৩৭ পিএম
  • ৪৯ বার সংবাদটি পড়া হয়েছে
ন্যায়ভিত্তিক সমাজব্যবস্থা গড়ে তোলাই আমাদের মূল লক্ষ্য : জাতিসংঘে ড. ইউনূস

সময়সংবাদ ডেস্ক :

‘জনগণের কাঙ্ক্ষিত রাষ্ট্রব্যবস্থা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য আমাদের ওপর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অতীতের ভুলগুলোকে সংশোধন করে একটি প্রতিযোগিতামূলক ও শক্তিশালী অর্থনীতি এবং ন্যায়ভিত্তিক সমাজব্যবস্থা গড়ে তোলাই এই মুহূর্তে আমাদের মূল লক্ষ্য।’ জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে বাংলায় ভাষণ দিলেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে অবস্থিত জাতিসংঘ সদর দপ্তরে এই অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভাষণে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবে রূপ দিতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সমর্থন চেয়েছেন ড. ইউনূস। পাশাপাশি তিনি গাজা ও রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়েও কথা বলেছেন।

ড. ইউনূস বলেন, ‘গত জুলাই-আগস্টে বাংলাদেশে যে যুগান্তকারী পরিবর্তন সংঘটিত হয়েছে, তার পরিপ্রেক্ষিতেই আজ আমি বিশ্ব সম্প্রদায়ের এ মহান সংসদে উপস্থিত হতে পেরেছি। আমাদের গণমানুষের, বিশেষ করে তরুণসমাজের অফুরান শক্তি আমাদের বিদ্যমান রাষ্ট্রকাঠামো ও প্রতিষ্ঠানগুলোর আমূল রূপান্তরের এক নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে।’

ছাত্র–জনতা অদম্য সংকল্প ও প্রত্যয় একটি স্বৈরাচারী ও অগণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা থেকে দেশকে মুক্তি দিয়েছে বলেও উল্লেখ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘তাঁদের এই সম্মিলিত সংকল্পের মধ্যেই আমাদের দেশের ভবিষ্যৎ নিহিত।’

এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের মুক্তি ও গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবে রূপ দিতে আমি তাই বিশ্ব সম্প্রদায়কে বাংলাদেশের সঙ্গে নতুনভাবে সম্পৃক্ত হওয়ার উদাত্ত আহ্বান জানাই।’

বর্তমান পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে, সব রাজনৈতিক দল এখন স্বাধীনভাবে মতামত প্রকাশ করতে পারছে বলে উল্লেখ করেন ড. ইউনূস। তিনি বলেন, যেসব ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান রাষ্ট্রীয় কাজ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত, তাদের সব কটির জবাবদিহি নিশ্চিত করাও তাঁর সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার। তিনি বলেন, ‘আমরা মানুষের মৌলিক অধিকারকে সমুন্নত ও সুরক্ষিত রাখতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আমাদের দেশের মানুষ মুক্তভাবে কথা বলবেন, ভয়ভীতি ছাড়া সমাবেশ করবেন, তাঁদের পছন্দের ব্যক্তিকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন—এটাই আমাদের লক্ষ্য। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা সংরক্ষণ এবং সাইবার ডোমেইনসহ গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সুসংহতকরণেও আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।’

ভাষণে গাজা প্রসঙ্গে ড. ইউনূস বলেন, ‘বিশ্ববাসীর উদ্বেগ এবং নিন্দা সত্ত্বেও গাজায় গণহত্যা থামছে না। ফিলিস্তিনের বিদ্যমান বাস্তবতা কেবল আরব কিংবা মুসলমানদের জন্যই উদ্বেগজনক নয়, বরং তা সমগ্র মানবজাতির জন্যই উদ্বেগের বিষয়।’

এ সময় তিনি ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা থামাতে যত দ্রুত সম্ভব যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানান। যুদ্ধরত রাশিয়া এবং ইউক্রেনকেও তিনি শান্তির জন্য আলোচনা শুরু করার আহ্বান জানান।

রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে ড. ইউনূস বলেন, ‘বাংলাদেশ সাত বছর যাবৎ মিয়ানমার থেকে আগত ১২ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে মানবিক কারণে আশ্রয় দিয়ে আসছে। এর ফলে আমরা বিরাট সামাজিক, অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত ক্ষতির মুখোমুখি হচ্ছি।’

রোহিঙ্গা সমস্যাকে মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বিষয় দাবি করলেও আশ্রিতদের সহায়তা দেওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশের অঙ্গীকারের কথাও জানান প্রধান উপদেষ্টা। এ জন্য তিনি বৈশ্বিক সম্প্রদায়ের কাছেও সাহায্যের প্রার্থনা করেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

অন্যান্য সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

September 2024
T F S S M T W
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031  

All rights reserved © somoysangbad.net
Theme Download From CreativeNews