রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৫৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
বামনায় বিএনপি নেতাদের সুস্থতার জন্য দোয়া কামনা ডিম-মুরগিতে স্বস্তি, মাছ-সবজি চড়া বামনায় রিয়াদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে চেক জালিয়াতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ বিশ্বকে বদলানোর মতো ‘দুর্দান্ত আইডিয়া’ বাংলাদেশের আছে : প্রধান উপদেষ্টা আবার গ্রেপ্তার শমী কায়সার বামনায় নিউ ফরাজী জেনারেল হসপিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার উদ্বোধন উপলক্ষে দোয়া অনুষ্ঠিত গৃহযুদ্ধের পরিকল্পনা, শেখ হাসিনাসহ ৭৩ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা বামনায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে দুই যুবক আটক বামনায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২৫ অনুষ্ঠিত চীন সফরের আগে ভারত যেতে চেয়েছিলেন প্রধান উপদেষ্টা: প্রেস সচিব ভারতের গোয়েন্দা সংস্থার ওপর নিষেধাজ্ঞার সুপারিশ মার্কিন সংস্থার গুজব–ভুল তথ্য ছড়ানো হচ্ছে, বিভ্রান্ত হওয়া যাবে না: সেনাপ্রধান বাসস এমডির অপসারণ দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার কাছে ডিইউজের স্মারকলিপি বরিশাল বিভাগ সাংবাদিক সমিতির ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত অস্ট্রেলিয়ার ভিসা পাওয়া যাবে ঢাকায়,যেতে হবে না দিল্লি সব মামলায় খালাস তারেক রহমান, দেশে আসছেন কবে বাংলাদেশ সরকারের পদক্ষেপকে স্বাগত জানাল যুক্তরাষ্ট্র খাদের কিনারা থেকে দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে হিমাগারে রাখতে বিড়ম্বনা, নষ্ট হওয়ার শঙ্কায় কয়েক ট্রাক আলু যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা প্রধান তুলসী গ্যাবার্ডের মন্তব্য বিভ্রান্তিকর: প্রেস উইং

আইসিটি বিভাগে পলকের সিন্ডিকেটে দুর্নীতি

  • সংবাদ প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৫.২৭ এএম
  • ১৫৫ বার সংবাদটি পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সাড়ে ১৫ বছরের সময়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ (আইসিটি) দুর্নীতির কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছিল। এই দুর্নীতি সিন্ডিকেটের নেতৃত্বে ছিলেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। ডিজিটাল বাংলাদেশ, স্মার্ট বাংলাদেশ, রোবট অলিম্পিয়াড ও শেখ রাসেল দিবসের নামে প্রতি বছর কোটি কোটি টাকা লুটপাট করা হতো।

ডিজিটাল বাংলাদেশ বা স্মার্ট বাংলাদেশ দিবসের জন্য বাজেট নির্ধারণ করা হতো ২৩ থেকে ২৫ কোটি টাকা। প্রতিমন্ত্রী হিসেবে পলক গত সাড়ে ১৫ বছরে দিবস পালনের জন্য প্রায় ৩৭৫ কোটি টাকা বাজেট করেছিলেন। এই দিবস পালনের জন্য আয়োজিত অনুষ্ঠানে ৫০ লাখ টাকা খরচ হলেও, সরকারি কোষাগার থেকে ৮ থেকে ১০ কোটি টাকা পর্যন্ত তুলে নেওয়া হতো।

পলক ও তার সহযোগীরা দিবস পালনের নামে কয়েক শ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। শেখ রাসেল দিবসের জন্য বরাদ্দের অতিরিক্ত টাকা ভাউচার দিয়ে তুলে নেওয়া হতো। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে পদক বাণিজ্যও চলত, যেখানে দেশের নামিদামি ব্যবসায়ী গ্রুপ ও ব্যক্তিদের কাছ থেকে কোটি টাকা পর্যন্ত হাতানো হতো। পদক তৈরিতে প্রয়োজনীয় খরচের তুলনায় অনেক বেশি টাকা প্রদর্শন করা হতো।

পলক ও তার সহযোগীরা অনিয়ম ও দুর্নীতি লুকানোর জন্য নিজস্ব গণমাধ্যমকর্মীদের ব্যবহার করতেন। প্রযুক্তি বিভাগের বার্ষিক ক্রয় প্রতিবেদনে দেখা গেছে, মোজাম্মেল হক বাবুর মিডিয়া হাউসগুলোতে কোটি কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। ২০২৩ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ দিবস বাস্তবায়ন না করেও পলক সিন্ডিকেট এক কোটি ৮৯ লাখ টাকা তুলে নিয়েছে।

অনুসন্ধানে আরও জানা গেছে, পলক সিন্ডিকেট ভুয়া সেমিনার ও প্রশিক্ষণ আয়োজন করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়েছে। দিবস পালনের জন্য উপকরণ ক্রয়ের ক্ষেত্রে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট রুলস (পিপিআর) মানা হয়নি। অডিট রিপোর্টে ধরা পড়া অনিয়মের মুখে কখনো টাকা দিয়ে আবার কখনো ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিষয়গুলো ধামাচাপা দেওয়া হয়েছে।

অন্য সহযোগীদের মধ্যে ছিলো সহকারী প্রোগ্রামার এস এম এম ইশতিয়াক আহমেদ, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী, সাবেক মহাপরিচালক মো. মোস্তফা কামাল, এবং উপপরিচালক (অর্থ) মো. ফিরোজ সরকার। তাদের সকলেই পলকের দুর্নীতির অংশীদার ছিলেন।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শামসুল আরেফিন এবং অতিরিক্ত সচিব মাহবুবুর রহমানকে ফোন দিয়ে বিস্তারিত তথ্য জানার চেষ্টা করা হলেও তাদের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

অন্যান্য সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

September 2025
T F S S M T W
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031  
All rights reserved © somoysangbad.net
Theme Download From CreativeNews