আনিসুর রহমান টুলু,
বরগুনা – বেতাগী মহা সড়কের দুই পাশে বন বিভাগের উদ্যোগে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রোপন করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে অনেক পুরাতন গাছ শিশুকাঠও আকাশমনি। কিছুদিন পূর্বে ঘূর্ণিঝড় রিমালে তাণ্ডবে শিশু গাছ পড়ে রাস্তার যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায়। বিষয়টি জানতে পেয়ে ঘটনাস্থলে বেতাগী উপজেলার নির্বাহী অফিসার মোঃ ফারুক আহাম্মেদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
দেখা যায় ঘূর্ণিঝড় ‘রিমালে শিশু গাছ ও আকাশমনি গাছ পড়ে জনসাধারণ ও যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে আছে, পরে বেতাগী ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে গাছগুলো কেটে রাস্তার দুপাশে রেখে দিয়েছেন। কিছুদিন পর বেতাগী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফারুক আহমেদের নির্দেশে অফিস সহায়ক নজরুল ইসলাম ৪০ সিএফটি শিশুকাঠ ও আকাশমনি গাছগুলো কবিরের করাত কলে কেটে বাড়িতে নিয়ে আসেন।
জানতে চাইলে অফিস সহায়ক নজরুল ইসলাম বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারুক আহমেদ স্যারের নির্দেশে আমি এই সরকারি গাছগুলো নিয়েছি, আমার ভুল হয়েছে। স্যার না বললে আমি গাছ নিতাম না।
স্থানীয় মোহাম্মদ বশির মিয়া বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফারুক আহমেদ স্যার সরকারি গাছ কিভাবে নজরুল কে কেটে নিতে বলেন এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। নজরুলের বিরুদ্ধে আমি একটি অভিযোগ করেছি বর্তমানে বেতাগী বন বিভাগের কর্মকর্তার কাছে তদন্ত রয়েছে।
বেতাগী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারুক আহমেদ এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গাছ কাটার আমি নির্দেশ দিলে লিখিত দিতাম। তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply