নিজস্ব প্রতিবেদক: বরগুনার বামনায় ডাকাত সন্দেহে জনতার হাতে ২ যুবকে আটক করেছে স্থানীয়রা।
জানা গেছে, গত বুধবার(২৬ মার্চ) দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে উপজেলা মধ্য আমতলী গ্রামে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে এই দুই যুবককে আটক করে পুলিশের কাছে তুলে দেন স্থানীয়রা।
এই ২ যুবকে আটক করার সময় বিক্ষুব্ধ জনগন ডাকাতে ব্যবহৃত একটি পালসার মটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।
আটককৃত ওই দুই যুবকরা হলেন, আমতলী গ্রামের মৃত শাহজাহান খানের ছেলে মো. শামিম হোসেন রাকিব(২২) ও পূর্ব সফিপুর গ্রামের হায়দার আলীর ছেলে মো. হাসান আলী(২১)।
আজ বৃহস্পতিবার (২৭মার্চ) বামনা থানা পুলিশ এ ঘটনায় চুরির প্রস্তুতির অভিযোগ এনে একটি মামলা দায়েরের প্রক্রিয় সম্পন্ন করেছেন।
জানা গেছে, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে বিভিন্ন এলাকায় ডাকাতি সংগঠিত হয়েছে। ফলে সমগ্র উপজেলা ব্যাপী বর্তমানে ডাকাতের আতঙ্ক বিরাজ করছে। ডাকাতির ঘটনা বৃদ্ধি পাওয়ায় বিভিন্ন এলাকায় স্থানীয়রা স্ব-উদ্যোগে নাগরিকা পাহাড়া শুরু করে।
স্থানীয়রা জানান, মধ্যআমতলী গ্রামের শহিদুল বক্স এর একটি পরিতাক্ত ঘরের ভিতর অভিযুক্ত শামিম হোসেন রাকিব ও হাসান আলী এই দুই যুবক ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিলো। এমন সময় স্থানীয় নাগরিক পাহারায় দ্বায়িত্ব প্রাপ্তরা বিষয়টি টের পেয়ে গোপনে ওই ঘরের চারপাশ ঘিরে ফেলে। পরে সেখান থেকে তাদেরকে উদ্ধার করে বামনা থানা পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়। পুলিশ এসে আটককৃতদের জনরোষ থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
এদিকে সম্প্রতি গত কয়েক সপ্তাহ ধরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় চুরি ও ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। গত ১৭ মার্চ বুকাবুনিয়া ইউনিয়নের লতাবুনিয়া গ্রামে সঞ্জীব মিত্রের বাড়ীতে লোহার দরজার ভেঙ্গে একদল ডাকাত ঘরে প্রবেশ করে লোকজনকে মারধর করে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ডাকাতি সংগঠিত করে। এঘটনার তিন দিন পরে গত শুক্রবার রাতে উপজেলা ব্যাপী বিভিন্ন মসজিদের মাইকে ডাকাত ঢুকছে মর্মে সকলকে সতর্ক করা হয়।
এই ঈদে সকলের মনে ডাকাতির আতঙ্ক বিরাজ করছে।
গ্রামবাসী জানিয়েছেন, আটককৃত ২ যুবকের বিরুদ্ধে চুরি ডাকাতিসহ নানা অপরাধের অভিযোগ থাকলেও প্রমাণের অভাবে তাদেরকে ধরা যায়নি। তাদের দলে আরো বহু লোক রয়েছে বলে জানা গেছে। এরা মাদকের টাকা সংগ্রহ করার জন্য চুরি ডাকাতি করে বেড়ায় বিভিন্ন বিভিন্ন গ্রামে।
বর্তমানে তাদের দলনেতারা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে। ফলে গ্রামবাসীর মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এবিষয়ে বামনা থানার অফিসার ইন চার্জ মো. হারুণ অর রশিদ হাওলাদার বলেন, আমরা ডাকাতি রোধে টহল বৃদ্ধি করেছি। প্রতিটি গ্রামে নাগরিক পাহারা বসিয়েছি। আটক ওই দুই যুবকের নামে চুরির প্রস্তুতি মামলা নিয়ে তাদেরকে জেল হাজতে পাঠানো হবে।
Leave a Reply