নিউজ ডেস্ক, সময় সংবাদ : গাজা বর্তমানে ‘পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষুধার্ত স্থান’ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে বলে সম্প্রতি জানিয়েছে,জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক সমন্বয় অফিস । যেখানে মোট ২৩ লাখ মানুষই এখন ‘বিপর্যয়কর ক্ষুধার’ মুখোমুখি। যা এক চরম মানবিক বিপর্যয়ের ইঙ্গিত দিচ্ছে। চলমান সংঘাতে খাদ্য ও মৌলিক চাহিদার অভাবে এখানকার মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। খবর আল-জাজিরার।
ইউএনআরডব্লিউএ জোর দিয়ে বলেছে, গাজার মানুষ এখন জরুরি সহায়তার অপেক্ষায় রয়েছে এবং এ সহায়তা প্রবেশে কোনো ধরনের বাধা বা দেরি হলে তা মানবিক বিপর্যয় ডেকে আনবে।
এর আগে জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক কয়েকটি সংস্থা যৌথভাবে প্রকাশিত একটি রিপোর্টে সতর্ক করে জানায়, গাজায় চরম খাদ্য সংকট এবং দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। মার্চের ২ তারিখ থেকে সব ধরনের সহায়তা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর থেকে গাজায় অনাহার, অপুষ্টি ও মানবিক বিপর্যয় ভয়াবহভাবে বেড়েছে।
এই ভয়াবহ মানবিক সংকটের মধ্যেই দক্ষিণ গাজার রাফাহের পশ্চিমে একটি ত্রাণ বিতরণ স্থানে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী আরও দুজনকে হত্যা করেছে। এমন ঘটনা ত্রাণ কার্যক্রমে আরও বাধা সৃষ্টি হয়েছে। আতঙ্ক ছড়াচ্ছে মানুষের মধ্যে।
এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শুক্রবার (৩০ মে) বলেছেন, ইসরায়েল-হামাসের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি ‘খুব কাছাকাছি’, শিগগিরই তা ঘোষণা করা হতে পারে। তার এই মন্তব্য এমন এক সময়ে এলো যখন গাজায় মানবিক পরিস্থিতি চরম আকার ধারণ করেছে, ক্রমাগত বাড়ছে হতাহতের সংখ্যা।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জানিয়েছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৫৪ হাজার ৩২১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও এক লাখ ২৩ হাজার ৭৭০ জন। সরকারি মিডিয়া অফিস মৃত্যুর সংখ্যা ৬১ হাজারে ৭০০-এরও বেশি বলে জানিয়েছে।
অন্যদিকে, হামাস নেতৃত্বাধীন হামলায় ইসরায়েলে আনুমানিক এক হাজার ১৩৯ জন নিহত হয়েছিল। এছাড়া ২০০ জনেরও বেশি লোককে বন্দি করা হয়েছিল।
এই চলমান সংঘাত শুধু জানমালের ক্ষতি করছে না, বরং গাজার সাধারণ মানুষের জন্য এক অভূতপূর্ব মানবিক সংকট তৈরি করেছে। যেখানে খাদ্য ও মৌলিক জীবনধারণের অধিকারই আজ হুমকির মুখে।
Leave a Reply