নিজস্ব প্রতিবেদক:
জুলাই-আগস্টের গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার সাবেক ১০ মন্ত্রীসহ ১৪ জনকে সোমবার (১৮ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে
হাজির করা হচ্ছে। গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা ৪৬ জনের মধ্যে এই প্রথম মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে তাদের ট্রাইব্যুনালে তোলা হবে।
সোমবার সকাল ১০টার পর আসামিদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হবে বলে জানা গেছে।
যাদের হাজির করা হবে- আনিসুল হক, ফারুক খান, ডা. দীপু মনি, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, ড. আব্দুর রাজ্জাক, শাজাহান খান, জুনাইদ আহমেদ পলক, সালমান এফ রহমান, ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, কামাল আহমেদ মজুমদার, গোলাম দস্তগীর গাজী, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ও সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাঙ্গীর আলম। বর্তমানে তারা কারাগারে।
এর আগে, তদন্ত সংস্থার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৭ অক্টোবর বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল বেঞ্চ তাদের হাজির করার আদেশ দেন। অন্য দুই সদস্য হলেন- বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
রোববার চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম জানান, পুরোনো কোর্ট ভবন নতুন করে ব্যবহারের প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। এখন ইন্টারনেট ও কম্পিউটার সংযোগ বাকি আছে, তাই সোমবারের কার্যক্রম এখানে হবে না। টিনশেড ভবনেই হবে।
তিনি বলেন, আসামিরা হাজির হলে তাদের সঙ্গে একজন আইনজীবী ও স্বজনরা উপস্থিত থাকতে পারবেন। তবে কোনো সাধারণ মানুষ থাকতে পারবেন না। যথাযথ আইডি কার্ড ছাড়া সাংবাদিকরাও ঢুকতে পারবেন না। তবে মোবাইল ফোন নিয়ে প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা থেকে তদন্ত প্রতিবেদন যেহেতু এক মাসের মধ্যে দেওয়া সম্ভব নয়, তাই সময় বাড়ানো হবে। প্রাথমিকভাবে তাদের বিরুদ্ধে গণহত্যার যেসব তদন্ত প্রতিবেদন রয়েছে সেগুলোর কপি পাওয়া গেছে। যারা হাজির হবেন এই কপি তাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। অভিযোগ এবং অকাট্য দলিল দুটোই রয়েছে। সেগুলোকে একসঙ্গে করে বিচার উপযোগী করার যে প্রক্রিয়া চলছে, তা আইনের নির্ধারিত গতি অনুযায়ী চলবে।
তাজুল ইসলাম বলেন, অতীতে এই ট্রাইব্যুনাল যে অবিচারের ইতিহাস তৈরি করেছে তা আর হবে না। এই সরকারের সুবিচার করার সদিচ্ছা আছে। আগের সরকারের সময়ে গুম, খুন এবং বিচারবহির্ভূত হত্যার বিচারও এই ট্রাইব্যুনালে হবে। তবে এখন জুলাই-আগস্টে চলমান গণহত্যার বিচারকে প্রাধান্য দেওয়া হবে।
Leave a Reply