নিউজ ডেস্ক, সময় সংবাদ :আগে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশকে ২৮৬ রানের বড় লক্ষ্য দিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। জবাব দিতে নেমে ১৮৬ রানেই গুঁটিয়ে যায় বাংলাদেশ। এতে ৯৯ রানের বড় জয়ে ২-১ ব্যবধানে ওয়ানডে সিরিজ ঘরে তোলার লঙ্কানরা।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি বাংলাদেশ। দলীয় ১৯ রান তামিম এবং ২০ রানে শান্ত আউট হলে চাপে পড়ে টাইগাররা। কিন্তু অপর প্রান্ত থেকে রান তুলতে থাকেন ওপেনার পারভেজ ইমন। তার দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে মাত্র ৯ ওভারেই ফিফটি তুলে নেয় বাংলাদেশ।
কিন্তু ইনিংস বড় করতে পারেননি ইমন। ১৪তম ওভারে ওয়েল্লালাগেকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ আউট হন তিনি। ৪৪ বলে ২৮ রান করেছেন তিনি। ইমনের বিদায়ের তাওহীদ হৃদয়কে সঙ্গে নিয়ে দলের হাল ধরেন অধিনায়ক মিরাজ।
দুজনের ব্যাটে ভর করে ১৯ ওভারেই সেঞ্চুরি তুলে নেয় টাইগাররা। এরপরই ওয়েল্লালাগেকে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে কাটা পড়েন মিরাজ। ২৫ বলে ২৮ রান করেন তিনি। এতে ১০৫ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ।
ছয় নম্বরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে দেখে শুনেই খেলতে থাকে শামীম হোসেন পাটোয়ারী। কিন্তু ২৮তম ওভারের প্রথম বলে বিহাইন্ড দ্য উইকেটে কাটা পড়েন তিনি। ১৮ বলে ১২ রান করেন শামীম। শামীম আউট হলেও অপর প্রান্ত আগলে রেখে ৭৫ বলে ফিফটি তুলে নেন তাওহীদ হৃদয়। কিন্তু দুই বল পরেই বোল্ড আউট হন এই তারকা ব্যাটার।
আগের ম্যাচে দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে ছিলেন সাকিব। কিন্তু এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি তিনি। ৮ বলে ৫ রান করে আউট হন তিনি। ১ রান করে তাকে সঙ্গ দেন তাসকিন। এতে ৮ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় বাংলাদেশ।
তবে অপর প্রান্ত থেকে লড়াই করতে থাকেন জাকের আলী। কিন্তু ৩৫ বলে ২৭ রান করে জাকের আউট হলে ম্যাচ শেষ হয়ে যায় বাংলাদেশের। শেষ দিকে ১০ বলে ৮ রান করে তানভীর আউট হলে ১৮৬ রানে অলআউট হয় টাইগাররা। এতে ৯৯ রানের বড় জয় পায় স্বাগতিকরা।
শ্রীলঙ্কার হয়ে আসিথা ফার্নান্দো ও দুশমানথা চামিরা তিন করে উইকেট শিকার করেন। এ ছাড়াও দুনিথ ওয়েল্লালাগে ও ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা নেন ২টি করে উইকেট।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি শ্রীলঙ্কা। মাত্র ১ রান করে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার নিশান মাদুশকা। তবে কুশাল মেন্ডিসকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন আরেক ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি তিনি। ৪৭ বলে ৩৫ রান করে তানভীরের বলে ক্যাচআউট হন তিনি।
এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি কামিন্দু মেন্ডিসও। ১ ওভারে বোলিংয়ে এসে কামিন্দুকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন মিরাজ। ২০ বলে ১৬ রান করে আউট হন তিনি। কিন্তু অপর প্রান্ত আগলে রেখে ৭টি বাউন্ডারিতে ৫৮ বলে ফিফটি তুলে নেন কুশল মেন্ডিস।
অপর প্রান্ত থেকে ৯টি বাউন্ডারি মেরে ৬০ বলে ফিফটি তুলে নেন আসালাঙ্কা। আর সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে চলে যান কুশল। ৯৫ বলে নিজের শতক পূরণ করে দলে বড় সংগ্রহের পথে এগিয়ে নেন তিনি।
এই দুজনের ব্যাটে ভর করে বড় সংগ্রহের পথে এগাচ্ছিল লঙ্কানরা। কিন্তু ৪১তম ওভারে তাসকিনকে বোলিংয়ে আনেন মিরাজ। ওভারের তৃতীয় বলে লঙ্কান অধিনায়ককে ক্যাচ আউটের ফাঁদে ফেলেন এই টাইগার পেসার। ৬৮ বলে ৫৮ রান করেন তিনি।
৪৫তম ওভারের শেষ বলে হিট উইকেটের ফাঁদে পড়েন জিনাথ লিয়ানাগে। ১৭ বলে ১২ রান করেন তিনি। পরের ওভারে শামীম পাটোয়ারীকে বোলিংয়ে আনেন মিরাজ। ওভারে চতুর্থ বলে শামীমকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ আউট হন কুশল মেন্ডিস। ১১৪ বলে ১২৪ রান করেন তিনি। এতে রানের গতি কমে যায় লঙ্কনদের।
শেষ পর্যন্ত ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার ১৪ বলে ১৮ রান এবং দুশমানথা চামিরার ১০ রানে ভর করে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৮৫ রানের বড় পুঁজি পেয়েছে শ্রীলঙ্কা।
Leave a Reply