নিউজ ডেস্ক, সময় সংবাদ : পরমাণু চুক্তি নিয়ে কোনো অগ্রগতি না হলে আগস্টের শেষ নাগাদ ইরানের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানি। পশ্চিমা কূটনীতিক ও কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন তথ্যটি।
২০১৫ সালে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি সীমিত করা ও এতে নজর রাখার শর্তে দেশটির ওপর আরোপিত অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছিল ওই পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলো। এখন তারা বলছে, আগামী মাসের শেষ নাগাদ আবার আরোপ করা হতে পারে ওই নিষেধাজ্ঞাগুলো।
গত মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) সাংবাদিকদের এ বিষয়ে জানান ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন-নোয়েল ব্যারট।
ইরানের পরমাণুবিষয়ক উচ্চাকাঙ্ক্ষা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কূটনীতিকরা। ফলে তারা নতুন করে চাপ তৈরি করতে চাইছেন দেশটির ওপর। ইসরায়েলের হামলার পর ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সির (আইএইএ) পরিদর্শকদের পরিদর্শন নিষিদ্ধ করেছে তেহরান। তারা এখন কোন পথে এগোবে, তা জানাও কঠিন হয়ে গেছে পশ্চিমের জন্য। এসব কারণেই হয়তো আবারও সামনে নিয়ে আসা হচ্ছে নিষেধাজ্ঞা। তেহরান অবশ্য বরাবরই বলে আসছে, তাদের লক্ষ্য সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ।
অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের প্রতিবেদন বলছে, জাতিসংঘের যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানির দূতরা গত মঙ্গলবার সাক্ষাৎ করে নিষেধাজ্ঞা পুনরায় আরোপের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন।
গত সোমবার ইস্যুটি নিয়ে ওই তিন দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর মধ্যে বৈঠকও হয়েছে। নাম না প্রকাশের শর্তে দুই মার্কিন কর্মকর্তা এ তথ্য জানান। এদিকে নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকির কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি ইরানের জাতিসংঘ মিশন।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি সাম্প্রতিক দিনগুলোতে বলেছেন, নিষেধাজ্ঞা ফিরিয়ে আনা হলে তা ইরানের পরমাণু ইস্যুতে ইউরোপের ভূমিকার অবসান ঘটাবে। তারা আর তেহরান ও ওয়াশিংটনের মধ্যে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে থাকবে না।
এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে আর কোনো আক্রমণ না হওয়ার দৃঢ় নিশ্চয়তা পেলে ইরান আলোচনায় বসতে রাজি বলেও জানিয়েছেন আরাগচি। তিনি বলেছেন, ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের হামলা পুরো বিষয়টিকে আরও জটিল করে তুলেছে।
সূত্র: আল-জাজিরা
Leave a Reply