শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৩১ অপরাহ্ন

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

  • সংবাদ প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২৪, ১২.৩৮ পিএম
  • ৩৭ বার সংবাদটি পড়া হয়েছে

সময়সংবাদ ডেস্ক :
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে জুলাই-আগস্টের গণহত্যার মামলার বিচারকাজ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) থেকে শুরু হয়েছে। ওই সময়ের গণহত্যার দায়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা চাইবে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন টিম। সেই সঙ্গে বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদেরও ট্রাইব্যুনালে গ্রেপ্তার দেখানো হবে।

বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সূত্রে জানা গেছে, জুলাই-আগস্ট গণহত্যায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা চাইবে প্রসিকিউশন। জানা গেছে, এদিন আসামিদের বিরুদ্ধে আবেদন করবেন রাষ্ট্রপক্ষের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। কিন্তু এবার গণহত্যার প্রথম অভিযোগ কার এবং কত জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হবে সেটি এখন দেখার বিষয়। সকাল ১০টার পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারপতিরা এ নিয়ে বিচারকাজ শুরু করেন। গণহত্যার হুকুম ও সরাসরি জড়িতদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করবেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা ও প্রসিকিউশন টিম।

এর আগে চিফ প্রসিকিউটর সাংবাদিকদের জানান, জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় গণহত্যার ঘটনায় করা মামলার বিচার করতে নিয়োগ পাওয়া ট্রাইব্যুনালের তিন বিচারপতি যোগ দিয়েছেন। এখন অভিযোগ যাচাই-বাচাই ও তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনার প্রয়োজনে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আর্জিও জানানো হবে। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের ১৫ বছরের শাসনের অবসান হয়। ছাত্র-জনতার আন্দোলন ঠেকাতে আওয়ামী লীগ সরকার নির্বিচারে হত্যা চালায়। প্রায় দেড় হাজার মানুষ প্রাণ হারায় এ আন্দোলনে। তুমুল আন্দোলনের মধ্যে।

গত ১৪ অক্টোবর হাইকোর্টে অতিরিক্ত বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারকে চেয়ারম্যান করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছে। যেখানে ট্রাইব্যুনালের দুইজন সদস্যও রয়েছেন। তারা হলেন- হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

তারও আগে গত ৫ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ পান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। এছাড়া প্রসিকিউশন টিমের অপর পাঁচ প্রসিকিউটররা হলেন- মো. মিজানুল ইসলাম, গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামিম, বি এম সুলতান মাহমুদ, আবদুল্লাহ আল নোমান ও মো. সাইমুম রেজা তালুকদার।

এদিকে ১০ জন কর্মকর্তার সমন্বয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা পুনর্গঠন করা হয়েছে। যেখানে তদন্ত সংস্থার কোঅর্ডিনেটর পদে মো. মাজহারুল হককে (অ্যাডিশনাল ডিআইজি, অবসরপ্রাপ্ত) এবং কো-কোঅর্ডিনেটর পদে মুহাম্মদ শহিদুল্যাহ চৌধুরীকে (পুলিশ সুপার, অবসরপ্রাপ্ত) নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

এছাড়া তদন্ত সংস্থার অপর কর্মকর্তারা হলেন- মো. আলমগীর (অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, অ্যান্টিটেররিজম ইউনিট ঢাকা), মোহা. মনিরুল ইসলাম (অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, পিবিআই হেডকোয়ার্টার্স), মো. জানে আলম (অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, স্পেশাল ব্রাঞ্চ, ঢাকা), সৈয়দ আবদুর রউফ (সহকারী পুলিশ সুপার, ট্রাফিক অ্যান্ড ড্রাইভিং স্কুল, ঢাকা), মো. ইউনুছ (পুলিশ পরিদর্শক-নিরস্ত্র, সিআইডি), মো. মাসুদ পারভেজ (পুলিশ পরিদর্শক-নিরস্ত্র, চারঘাট মডেল থানা, রাজশাহী), মুহাম্মদ আলমগীর সরকার (পুলিশ পরিদর্শক-নিরস্ত্র, আরআরএফ-ঢাকা) ও মো. মশিউর রহমান (পুলিশ পরিদর্শক-নিরস্ত্র, সিআইডি, ঢাকা মেট্রো-উত্তর)।

উল্লেখ্য, গত ৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সারাদেশে সংঘটিত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা ও প্রসিকিউশন অফিসে অর্ধশতাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

অন্যান্য সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

October 2024
T F S S M T W
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
252627282930  

All rights reserved © somoysangbad.net
Theme Download From CreativeNews